Halloween party ideas 2015

দৈনন্দিন জীবন আরো সহজ করার উদ্দেশ্যে আমাদের নানাবিধ সামগ্রী ব্যবহার করতে হয়। আগের যুগের মতন হাতের কাজ খুব কম এখন। কিছু কিছু কোম্পানি আমাদের এমন সামগ্রী কিনতে উৎসাহিত করে যেগুলো বেশ অপ্রয়োজনীয়। এটা জেনে নিশ্চয়ই অবাক হবেন যে নিত্য ব্যবহারের কিছু জিনিসই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। তেমন পাঁচটি জিনিস নিয়ে আজ আমরা হাজির হয়েছি। আমরা সেগুলোর গুণাগুণ সম্পর্কে খুব একটা চিন্তা করিনা কিন্তু বেশ কিছু গবেষক প্রমাণ করেছেন সেগুলোর ক্ষতিকারক দিক। এবার আপনিই ভেবে দেখুন এগুলো আর ব্যবহার করবেন কী না-



প্লাস্টিক ফুড কন্টেইনার
প্লাস্টিক নিজে কোন ক্ষতিকারক বস্তু নয় কিন্তু উৎপাদনকারীগণ এটিকে খাঁটি ও টেকসই বানাতে যা যা ব্যবহার করেন, সেগুলো মারাত্মক ক্ষতিকারক। বারবার সেগুলো ধুলে, তাপ দিলে এবং খাবার সামগ্রীর সংস্পর্শে নিলে সবকিছু আরো বেগতিক অবস্থা ধারণ করে। প্লাস্টিক ভীষণভাবে বিষাক্ত এবং বিপজ্জনক হয়ে যায়। পাঁচ মাসের অধিক সময় প্লাস্টিক ফুড কন্টেইনার ব্যবহার করবেন না। সেগুলো মাইক্রোওয়েভে ঢোকানো থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন।

ক্রকস
সাবলীল ও সাধারণ এ ধরনের জুতো সকলেই পরিধান করতে পছন্দ করে। কিন্তু পায়ের গোড়ালীর জন্যে এগুলো খুব ক্ষতিকারক। ক্রকস পরলে গোড়ালী যথেষ্ট সাপোর্ট পায় না। যার দরুণ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় যেমন টো ডিফর্মিটিস, পায়ের ব্যথা এবং ফোসকা। আপনি হাঁটার সময় যেন আরাম বোধ করেন, সে ধরনের জুতোই পরিধান করা উচিৎ।
  
মাসকারা
যারা নিয়মিত মেকআপ করেন, তাদের কাছে মাসকারা খুবই প্রিয় একটি জিনিস। এটি না ব্যবহার করলে চোখের সাজ যেন পূর্ণতাই পায় না। এর পর থেকে যখন আপনি মাসকারা কিনবেন, অবশ্যই উপাদান দেখে কিনবেন। সেখানে যেন অবশ্যই প্যারাবেন, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার এবং প্রোপাইলিন গ্লাইকল না থাকে। কারণ এগুলো চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এবং অবশ্যই বন্ধুর কিংবা অন্য কারো মাসকারা ব্যবহার করবেন না। তাতে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস ছড়ানোর মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণে।

ননস্টিক কুকওয়্যার
ফ্রাইপ্যানের ওপর ননস্টিক ভাব তৈরি করার জন্য যে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় সেটি বিপজ্জনক নয়। কিন্তু তাপমাত্রা যখন ২৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস অতিক্রম করে তখন ভাজার জায়গা থেকে এক ধরনের পদার্থ নির্গত হয়। ড্যানিশ গবেষকেরা প্রমাণ করেছেন যে এই বিষাক্ত কেমিক্যালের উপস্থিতি মানুষের রক্তে ক্যান্সারের সেল তৈরি করতে পারে। কি মারাত্মক!

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবানে ট্রাইক্লোসান নামক অ্যান্টিসেপটিকের পরিমাণ হলো ০.১-০.৩%। কিন্তু এর মাধ্যমে যে ক্ষয়-ক্ষতি হয় তা বেশ ভয়ংকর। ট্রাইক্লোসান আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল বানিয়ে দেয়। এটি হরমোনাল ইমব্যালেন্সের সৃষ্টি করে। মূলত এ ধরনের সাবানগুলো এক ধরনের বিপণন চতুরতা। হাতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া যেকোন সাবান দিয়েই ধুয়ে ফেলা যায়।
এখন আপনিই চিন্তা করুন, এ সামগ্রীগুলো আর ব্যবহার করবেন কী না? চটকদার বিজ্ঞাপনের পাল্লায় না পড়ে বরং স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগী হওয়া উচিৎ।

Post a Comment

Related Post

[random][carousel2][#e74c3c]
{picture#YOUR_PROFILE_PICTURE_URL} YOUR_PROFILE_DESCRIPTION {facebook#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {twitter#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {google#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {pinterest#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {youtube#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {instagram#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL}
Powered by Blogger.